**কোটা সংস্কার ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় অনেক শোবিজ তারকাই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছিলেন, তবে অনেকেই এই আন্দোলনের সময় নীরব ছিলেন। কেউ কেউ আবার দলীয় অবস্থান থেকে ছাত্রদের বিপক্ষে কথা বলেছেন।**

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া কিছু স্ক্রিনশটে দেখা গেছে যে, কিছু অভিনেত্রী আন্দোলনরত ছাত্রদের ওপর গরম পানি ঢেলে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। 

মঙ্গলবার সকালে ‘আলো আসবেই’ নামক একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের কিছু স্ক্রিনশট সোশ্যালে ভাইরাল হয়, যার নেতৃত্বে ছিলেন সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত এবং সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ।

আন্দোলনকারী ছাত্র-ছাত্রীদের উপর ‘গরম পানি’ ঢেলে দিতে বলেন কয়েকজন শিল্পী<br />

সেখানে দেখা যায়, অভিনেত্রী অরুণা বিশ্বাস এবং সোহানা সাবা ছাত্র আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নেন। তারা মতামত দেন যে যেকোনোভাবে আন্দোলন থামাতে হবে। অন্য একজন শিল্পী ছাত্রদের ওপর গরম পানি ঢেলে দেওয়ার পরামর্শ দেন। 

ওই গ্রুপে আরও ছিলেন অভিনেত্রী শামীমা তুষ্টি, চিত্রনায়ক রিয়াজ, সাজু খাদেমসহ আরও অনেকেই। তবে প্রকাশিত স্ক্রিনশটগুলোতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণকারী হিসেবে দেখা গেছে তানভীন সুইটি, সোহানা সাবা, এবং অরুণা বিশ্বাসকে। 

এটি নিয়ে ইতোমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তুমুল প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। এই গ্রুপে নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর নিয়েও আলোচনা হয়েছে। ফারুকী এটিকে মানবতাবিরোধী আখ্যা দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিচার দাবি করেছেন এবং সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

এই স্ক্রীনশট ফাঁস হওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয়েছে ব্যপক আলোচনা-সমালোচনা।  তাদের বক্তব্য হচ্ছে…

“শিল্পী মানেই বিবেকবোধ ঠিক থাকবে, এই ধারণা থেকে বের হয়ে আসার ক্ষেত্রে- এদেরকে ধন্যবাদ। শিল্পের নামে মানুষ হত্যা, সাধারণ ছাত্রদেরকে সন্ত্রাসী ট্যাগ দেয়ার ক্ষেত্রে কোন কোন শিল্পীরা ভূমিকা রেখেছে সেটা আমাদের জানা থাকলো। যে ছাত্ররা পা হারিয়েছে, বুকে আর মাথায় গুলি খেয়েছে- তারাও জেনে রাখুক সব শিল্পীরই বিবেক বোধ নাই, এবং সব বিবেক বোধ ওয়ালা মানুষ শিল্পী হওয়ার আগে- মানুষ।

 দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ও এমন শিল্পীরা ছিল। ফলে আমরা অবাক হচ্ছি না। শুধু আফসোস করে বলতে ইচ্ছা করে-

 হে মোর দুর্ভাগা দেশ যাদের করেছ অপমান

অপমানে হতে হবে তাহাদের সবার সমান!

 প্রিয় বাংলাদেশ, শিল্পী নামের এই সকল কলঙ্কদের চিনে নিতে তুমি প্রস্তুত তো ? “